যুবলীগ নেতা হত্যার জেরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভাঙচুর

টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) গুলি করে হত্যার ঘটনায় শতাধিক বিক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা একটি রোহিঙ্গা শিবিরে হামলা চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অস্থায়ী ঘরবাড়ি ও এনজিও অফিসগুলোতে ভাঙচুর করে। স্থানীয় বাসিন্দারা টায়ার এবং প্লাস্টিকের বাক্স জ্বালিয়ে টেকনাফ পৌরসভা থেকে লেদা পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদের বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Read More News

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা বেলা ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়।

টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরায় বৃহস্পতিবার রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত ফারুকের বড় ভাই ওসমান গণি অভিযোগ করেন, একদল রোহিঙ্গা তাঁর ভাইকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

রোহিঙ্গাদের হাতে আরও দুজন স্থানীয় খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা এবং সাংবাদিকদের হয়রানির খবরও রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। অনেক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আয়াছুর রহমান বলেন, ‘আমরা, বাংলাদেশিরা এখানে নিরাপদ নই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *