অভিনয় দিয়ে টানা তিন দশক মাতানো নায়িকার নাম শাবানা। অথচ প্রায় একযুগের বেশি সময় ধরে রূপালী পর্দায় এই জনপ্রিয় নায়িকার দেখা নেই। ১৫ জুন (শনিবার) গুণী এই অভিনেত্রীর জন্মদিন ছিল।
তিন দশকের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অন্তত ২৯৯ টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন শাবানা। শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্রে তাঁর চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। পরে ১৯৬৭ সালে ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন।
Read More News
ষাট থেকে নব্বই দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন এই অভিনেত্রী। কখনো সলজ্জ বধূ কিংবা সংগ্রামী নারীর বেশে সিনেমা হলে দর্শক টেনেছেন শাবানা। অথচ সেই প্রিয় মুখটি হঠাৎ করেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগত থেকে নিজেকে একেবারে আড়াল করে ফেলেন। ২০০০ সালে সপরিবারে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে তিনি দেশে এসেছেন খুবই কম।
শাবানা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে, ‘ওরা এগারো জন’, ‘ভাত দে’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘বিরোধ’, ‘আনাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘জীবনসাথী’, ‘মাটির ঘর’, ‘লুটেরা’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কেউ কারো নয়’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘স্বামী কেন আসামি’, ‘দুঃসাহস’, ‘পুত্রবধূ’, ‘আক্রোশ’ ও ‘চাঁপা ডাঙার বউ’ প্রভৃতি।
শাবানা মোট ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও বাচসাস পুরস্কার, আর্ট ফোরাম পুরস্কার, নাট্যসভা পুরস্কার, কামরুল হাসান পুরস্কার, নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ললিতকলা একাডেমি, সায়েন্স ক্লাব পুরস্কার, জাতীয় যুব সংগঠন পুরস্কার, কথক একাডেমি’সহ আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরুর পরে শাবানা দেশে এসেছেন হাতে গোনা কয়েকবার। ২০১৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন শাবানা। সেই সময়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি।
গতবছর জাতীয় নির্বাচনে তার স্বামী ওয়াহিদ সাদেকের প্রার্থিতা সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় আবার আলোচনায় আসেন দেশের এই অভিনেত্রী। মাঝে বেশ কয়েকবার ঘোষণা দিয়েছেন সিনেমা প্রযোজনা করবেন বলে। তখন অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে, অভিনয়ে না হোক চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে তো জড়িত হতে যাচ্ছেন তিনি!
কিন্তু সে সম্ভাবনাও আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তবে অনেকেই মনে করছেন, ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই সংকট সময়ে হয়তো অচিরেই নায়িকা শাবানা প্রযোজক হিসেবে পা রাখবেন!