কেরালার বন্যা ছিল ভারত স্মরণকালে ভয়াবহ এক দুর্যোগ। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি ভারত। এদিকে কেরালার এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অধিকাংশ মসজিদ। এ কারণে ঈদুল আজহায় ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেননি কেরালার অধিকাংশ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে এ দিনই সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন থৃসুর জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মালায় জেলার পুরাপ্পিল্লিকাভু রক্তেশ্বরী মন্দিরের দরজার তারা খুলে দিয়েছেন মুসলিমদের জন্য।
Read More News
স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন সকালেও বন্যাকবলিত ওই অঞ্চলের অধিকাংশ মসজিদই জলাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের কারণে নামাজ পড়ার সুযোগ হয়েছে তাদের। এ বিষয়ে স্থানীয় মসজিদ মহল্লা কমিটির পি.এ খালিদ বলেন,’ আমরা আশা করেছিলাম পানি নেমে যাবে। বুধবার মসজিদেই আমরা ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবো। কিন্তু বুঝতে পারলাম এটা কোন ভাবেই পানি নামবে না। তখন সবার মনেই কষ্ট নেমে আসলো এবার হয়তো ঈদের নামাজ আদায় করা হবে না। এরপরে আমরা মন্দির কমিটির একজনের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরে নামাজ আদায়ের জন্যে আমন্ত্রণ জানালেন।’
প্রায় ২০০ জন মানুষ একসঙ্গে নামাজ পরেন ওই মন্দিরের হলে। যারা নামাজ পড়েছেন তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা প্রায় ২ ঘণ্টা সেখানে ছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা নামাজ পড়েছি। মন্দির কমিটি আমাদের জন্যে পানি এবং খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে।’
ভয়াবহ এই বন্যায় অন্তত ২০ হাজার কোটি রুপি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্রাণ পৌঁছাতে শুরু করেছে কেরালায়। এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ৭শ’ কোটি রুপি আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেছে। সোমবার আরব আমিরাতের প্রিন্স ফোনালাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই অর্থ সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দেন।