পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিচার দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। নিহতদের স্বজনরা গতকাল এ অভিযোগ দাখিল করেন।
শহীদ পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট উদয় তাসমীর এ বিষয়ে বলেন, দুপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ জমা দেন। এ সময় তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ, কর্নেল মুজিবুর হকের স্ত্রী ফেরদৌসী, কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫-২০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অ্যাডভোকেট উদয় তাসমীর বলেন, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার সঙ্গে আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার সামঞ্জস্যতা পেয়েছি। শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে সংকটের মুখে ফেলার জন্য এবং তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বৃহৎ এবং শক্তিশালী বাহিনীকে ধ্বংস করতে এ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
Read More News
তিনি বলেন, আমাদের অভিযোগ খুবই সুস্পষ্ট। দুটি বাহিনীকে ধ্বংস করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকটের মুখে ফেলে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট মতাদর্শকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশপ্রেমিক এবং দক্ষ অফিসারদের খুন করা হয়েছে। তাদের লাশে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে লাশ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। তাদের পরিবারকে আটক করে জিম্মি করা হয়েছে এবং লুটপাট করা হয়েছে। এসব কিছুই মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তাই কমিশন গঠনের মাধ্যমে এসব ঘটনার বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানসহ ৫৮ জন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা।