‘বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার কাছে সবকিছু’

সবকিছু চূড়ান্তই ছিল। বাকি ছিল শুধু ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন। গত বৃহস্পতিবার সেই অনুমোদন পাওয়ায় হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামতে আর কোনো বাধা থাকল না। আনুষ্ঠানিকভাবেই এখন বাংলাদেশের ফুটবলার তিনি।
Read More News

এমন সুসংবাদের পর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে মুখিয়ে আছেন হামজা। লাল-সবুজের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করাটা তার কাছে সবকিছু বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন লিস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ভার্সেসকে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৭ বছর বয়সী হামজা বলেছেন, ‘খুবই গর্বিত। ছোটবেলায় বাংলাদেশ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

আশা করি, কিছু বিষয় আমার সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারব। যাতে তাদের ভেতর কৃতজ্ঞতাবোধ এবং প্রত্যেককে সমভাবে দেখার মানসিকতায় বড় হয়। ইংল্যান্ড অবশ্যই আমার বাড়ি, বাংলাদেশও ঠিক তাই। নিজের শেকড়ে ফিরতে পারা এবং প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটাই আমার কাছে সবকিছু।

এটা আমাকে প্রচুর আনন্দ এবং গর্ববোধ অনুভব করাচ্ছে।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা প্রথম ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন হামজা। এমন একজন খেলোয়াড় হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘দায়িত্ব এবং গুরুত্ব বোঝাটা আমার জন্য কঠিন। ফুটবলকে ভালোবাসা এবং উপভোগ করা ছাড়া সত্যি অন্য কিছু করিনি। তবে বড় হতে হতে বুঝতে শুরু করেছি বা চেষ্টা করেছি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে খেলাটা আমার কতটা দায়িত্বের।

গুটি কয়েক মানুষের নয়, পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। আমার জন্য এটা গর্বের। সত্যি দায়িত্ব সম্পর্কে তেমনটা ভাবি না। এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছি এবং যাত্রাটা উপভোগ করছি।’
বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়ে বিশেষ কোনো মুহূর্ত অনুপ্রাণিত করেছে কিনা এমন বিষয়ে হামজা বলেছেন, ‘না, সত্যি বলতে আমি মনে করি না, তেমন কোনো বিশেষ মুহূর্ত ছিল। অবশ্যই, বাংলাদেশের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যখন ছোট ছিলাম বহুবার সেখানে গিয়েছি। তবে এমনটা বলতে পারব না, সেই বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ে ভেবেছি।’

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তাকে তার পরিবার একাধিবার বুঝিয়েছে বলে জানিয়েছেন হামজা। তিনি বলেছেন, ‘দেশে ফিরে আমার পরিবার একাধিকবার আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে। তাই এমন কিছু নয়, যা নিয়ে আগে ভাবিনি। সবসময়ই আমার মাথায় ছিল। ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশে থাকা আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তটা নিই। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সত্যিই গর্বিত এবং ভবিষ্যতের জন্য মুখিয়ে আছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *