জীবনে বড় হতে কে না চায়। সবাই চায় তার গাড়ি বাড়ি আর অঢেল টাকা থাকুক। কিন্তু পায় কজন? কোন এক মনিষী বলেছিলেন সফলতার কোন শর্টকাট পদ্ধতি নেই, আবার আমরা বই পুস্তকে পড়েছি পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসুতি। কিন্তু বাস্তব জীবেন এসব নীতিকথা কি চলে? তাইতো আমরা সবাই এসব ভুলে জীবনে বড় হবার শর্টকাট পদ্ধতি খুজি। আর সেখানেই বাধে বিপত্তি। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ এই শর্টকাটে বড়লোক হবার লোভকে কাজে লাগিয়ে সাধারন মানুষের কাছ থেকে প্রতারনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আজকে আওয়ার নিউজ বিডি আপনাদের সামনে সেরকমই কিছু শর্টকাটে বড়লোক হতে চাওয়া মানুষ আর তাদের পরিনতি তুলে ধরবে।
Read More News
আমেরিকা যাবার স্বপ্ন অনেকেরই আছে। কারন আমেরিকা গেলেই ইনকাম করা যাবে অঢেল টাকা। কিন্তু আমেরিকান ভিসা পাওয়া এত সহজ নয়। একসময় ডিভি ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা এদেশ থেকে অনেক লোক নিয়েছিল। কিন্তু সেই আমেরিকান ডিভি ভিসা এখন বন্ধ। তাহলে এখন উপায়? আমেরিকা যাওয়া তো চাই চাই। হঠাৎ নজর পড়ল পত্রিকার পাতায় আমেরিকান প্রবাসী সুন্দরী পাত্রীর জন্য পাত্র চাই। আরে এই তো সুযোগ আমেরিকান ভিসা নিয়ে যাবার। পত্রিকার বিজ্ঞাপনে কোন ঠিকানা নেই আছে একটি মোবাইল নম্বর। আপনি ফোন করলেন সেই নম্বরে, কথা হল বিজ্ঞাপন দাতাদের সাথে। সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে বিয়ে করার মাত্র তিনমাসের মধ্যেই আপনি চলে যাবেন স্বপ্নের দেশে আমেরিকায়। কত সোজা আমেরিকা যাওয়া তাই না। নারে ভাই যদি এত সোজাই হত তাহলে সবাই আমেরিকান ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাত।
এসব চটকদার বিজ্ঞাপন মূলত এক ধরনের ফাঁদ। যে ফাদে পা দিয়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে এখন নিঃস্বপ্রায় অনেকেই।জাকির, আমান, শাহীন, মানিক আর মল্লিক তারা বন্ধু নয়, কিন্তু একটা জায়গায় মিল আছে সবার। সেটা হল এদের প্রত্যেকের আছে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তাবায়নে এরা সবাই একই পথে হেটেছিল, সবাই স্বপ্ন দেখেছিল আমেরিকা প্রবাসী পাত্রী বিয়ে করে সেখানে পাড়ি জমানোর । কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে প্রতারিত হয়ে আজকে এরা সকলেই দিশেহারা। গাজীপুরের শাহীন রহমান বয়স ৫০ বিবাহিত কিন্তু পাত্র চাই বিজ্ঞাপন দেখে যাকে দেখলেন সেদিনই হয়ত মনে মনে আমেরিকার অর্ধেক পথে চলে গিয়েছিলেন তিনি। আমান বিয়ে করে পাত্রীর উপর ভর করে আমেরিকা যেতে চান। খরচ করেছেন ১২ লাখ টাকা। মানিক মিয়া সরকারী চাকুরিজীবি বাড়িতে অসুস্থ বউ তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত, বেছে নিলেন আমেরিকান পাত্রী।
কুমিল্লার জাকির হোসেনরও একই ঘটনা ১৫ লাখ টাকা খরচ করে আমেরিকান পাত্রীর সাথে কয়েকদিন গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে ঘুরতে পেরেছেন। মল্লিক দুই ছেলে আর এক মেয়েকে ভাল রাখতে আমেরিকা প্রবাসী কাউকে বিয়ে করে ওদেশে যেতে চেয়েছিলেন। এদের সবার সামনেই পাত্রী হিসেবে এসেছিলেন সাদিয়া। সবারই বড় অংকের টাকা গেছে। আমেরিকা আমেরিকার জায়গাতেই আছে মাঝখান থেকে টাকা নিয়ে সাদিয়া উধাও। এতো গেল কেবল পাঁচজনের কাহিনী এমন হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে এসব সাদিয়ার কাছে।