সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ১০০ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কস্থ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ক্যাম্পেইন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় সাউথ এশিয়ান অর্গানাইজিং সেন্টার -ড্রামের ব্যানারে এ প্রতিবাদ করে মানবাধিকার কর্মীরা। এতে যোগ দেয় নট ওয়ান মোর ,আরব আমেরিকান এসোসিয়েশনসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। এসময় তাদের প্ল্যাকার্ডে লিখা ছিল ‘ডেপুর্টেশন এখনই বন্ধ করতে হবে।’ ‘মানুষ কখনো অবৈধ হতে পারে না।
এসময় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, যাদেরকে ফেরত পাঠানো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ও মুসলিম। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রকারান্তরে ওবামা প্রশাসন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করছে। ঘেরাও চলাকালে মানবাধিকার সংগঠনের নেতাদের সাথে কথা বলেন হিলারি ক্লিনটনের দুই ক্যাম্পেইন অর্গানাইজার।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে এবং কারাগারের বাইরে ১৬১ জন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেইট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গত মাসে অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশ সরকার সেই অনুরোধে সারা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কারাগারে আটক বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কর্মকর্তারা।
এদিকে বাংলাদেশী কংগ্রেশনাল ককাসের কো-চেয়ার কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলি বাংলাদেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের পরিকল্পিতভাবে দেশে ফেরত পাঠানো বন্ধে ২৯ মার্চ ২০১৬ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিরিটিকে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি জে জনসনকে উদ্দেশ করে লেখা ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশী রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থনাকারীদের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থণার আবেদনটি বিচার বিশ্লেষন করা না পর্যন্ত সকল ধরণের ডেপুর্টেশন বন্ধ করতে হবে। জোসেফ ক্রাউলি ওই চিঠিতে আরো উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানো হলে তাদেরকে বিপদ অথবা নির্যাতনের শিকার হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
Read More News