আজ ঢাকা আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। মূলত ওয়াশিংটন আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল ক্লাইমেট সামিটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে আসছেন তিনি।
চারদিনের সফরে বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থানরত জন কেরির ঢাকা সফরটি সংক্ষিপ্ত হলেও বিদ্যমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কূটনীতিকরা বলছেন, ২০শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে পালাবদলের পর বাইডেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কোনো প্রতিনিধির এটাই হতে যাচ্ছে প্রথম বাংলাদেশ সফর। ফলে নিশ্চিতভাবে ওই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Read More News
বিশেষত ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসির মঞ্চে ফেরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্লাইমেট ভালনারেবল বাংলাদেশের বোঝাপড়ায় নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। প্রস্তাবিত সূচি মতে, শুক্রবার দুপুরে দিল্লি থেকে মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে জন কেরি ঢাকা পৌঁছাবেন। শুরুতে মার্কিন দূতাবাসের নিজস্ব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মধ্যাহ্নে তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। একই স্থানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করতে যাবেন জন কেরি। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে জো বাইডেন প্রদত্ত লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর জো বাইডেন গত ২৭শে জানুয়ারি ঘোষণা দিয়েছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে তিনি একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন। ২২ ও ২৩শে এপ্রিল ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠেয় এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারতসহ ৪০টি দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, জন কেরির সংক্ষিপ্ত সফরের ফোকাস জলবায়ু পরিবর্তন হলেও রোহিঙ্গা সংকটসহ আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনীতির সম-সাময়িক ইস্যু নিয়ে কমবেশি আলোচনা হবে। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশীয় জলবায়ু অভিযোজন কেন্দ্রের অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরবে ঢাকা। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে তহবিল গঠনের অঙ্গীকার করেছে, বাংলাদেশ সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চাইবে। বাংলাদেশ সরকারের গড়া জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।