তনু হত্যাকান্ড ধামাচাপার চেষ্টা অস্বীকার করছে পুলিশ

“আমি কুমিল্লা সেনানিবাসে থাকি।সেই সেনানিবাস এলাকা থেকে আমি নিজে আমার মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। আমার মেয়ে গ্রামের বাড়ি মুরাদনগরে মরেনি। আমার মৃত্যু হলেও একথা আমি বলে যাবো।”
বিবিসিকে একথা জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের নিহত ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর বাবা ইয়ার হোসেন।
এই হত্যকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেছেন তিনি।
সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের দাবিতে কুমিল্লা এবং ঢাকায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ ওঠার পাঁচদিন পর পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে পরিস্কার কিছু বলতে পারছে না।
পুলিশ বলেছে, হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা,সেটা জানার জন্য তারা মৃতদেহের ময়নাতদন্তসহ বিভিন্ন পরিক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে।
Read More News

গত রোববার শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল কুমিল্লা সেনানিবাসে একটি কালভার্টের কাছে।
সোহাগী জাহান তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা সেনানিবাসে বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করার কারণে সেখানেই কোয়াটারে পরিবার নিয়ে থাকেন।
মি: হোসেন বলেছেন, তাঁর মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তসহ বিভিন্ন পরিক্ষা শেষে দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি মুরাদনগরে যখন গিয়েছিলেন।সেই সুযোগে গ্রামের বাড়িতে ঘটনার চারদিন পর সাংবাদিকদের সাথে তাঁর কথা হয়।
তিনি জানিয়েছেন, আজ আবার তাদের সেনানিবাসের কোয়াটারে ফিরতে বলা হয়েছে বং তারা কোয়ার্টারে ফেরেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারিরা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ করে আসছেন।
এই শিক্ষার্থী তাঁর কলেজে নাটকসহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও জড়িত ছিলেন।ফলে কুমিল্লায় এবং ঢাকায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বা গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনও প্রতিবাদ করছে।
কুমিল্লা থেকে সাংস্কৃতিক কর্মি শহিদুল হক স্বপন বলেছেন, যেহেতু ঘটনাটি কুমিল্লা সেনানিবাসে ঘটেছে।সেকারণে এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভে নামার আগে তাদের মধ্যে এক ধরণের ভয় ছিল। কিন্তু এখন স্বতর্স্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে।
কুমিল্লা এবং ঢাকায় বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ থেকে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করার দাবি করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে কুমিল্লায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আইন শৃংখলা কমিটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেছেন, তারা তদন্ত এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা তারা করছেন।কিন্তু ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা বা আন্দোলনকারিদের ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুললে তাঁরা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে কুমিল্লার পুলিশ সুপার www.examsworld.us কে বলেছেন, হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তি নিশ্চিত হতে আরও সময় প্রয়োজন।তিনি বলেছেন, ভিসেরা পরিক্ষার রিপোর্ট সিআইডি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনও আসেনি।এসব পাওয়ার পর ঘটনা সম্পর্কে পরিকার ধারণা পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *