স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমেরিকার আগে বাংলাদেশে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ চালু হয়েছে। হোয়াট বাংলাদেশ থিংক টুডে, ইউএসও থিংকস থ্রি মান্থস লেটার। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা আজ চিন্তা করে, আমেরিকা করে তিন মাস পর। আজ বুধবার ‘জাতীয় কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএমসিএ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ নেওয়ার সময় ১৫টি অর্ডারে সাইন করেছেন। সেখানে একটা ছিল নো মাস্ক, নো গভর্মেন্ট সার্ভিস। সেটা আমরা অনেক আগে থেকেই চালু করেছি।
জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি খাত টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখানোয় আমি আনন্দিত। তিনি বলেন, আপনারা যুক্ত হতে চান, যেভাবে আপনারা পরীক্ষা এবং চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে আপনারাও ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবেন।
Read More News
এই প্রক্রিয়া শুরু করতে যেসব নিয়মকানুন, শর্ত আছে সেগুলো পালন শেষে কাজটি শুরু হবে। স্বাস্থ্যখাতে ৬০ শতাংশ সেবা দেয় বেসরকারি খাত। কাজেই তারা কেন বাইরে থাকবে। তারা সব কাজে যোগ দেবেন, এই সহযোগিতা আমরা করব। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা সেবা দেওয়া- সব ক্ষেত্রেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। তাহলে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন তাদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে না।
টিকা দেওয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের অনুমোদন ও মূল্য নির্ধারণ করে দেবে সরকার। এখন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টাকার বিনিময়ে নমুনা পরীক্ষা করা যায়। টিকার ক্ষেত্রেও কেউ চাইলে সরকারি বিনামূল্যের টিকা নিতে পারবেন, চাইলে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা কিনে নিতে পারবেন।