প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের কাপড়-চোপড়, টিফিন বক্স ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে এক হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা একথা জানান।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে সকলের জীবনে স্থবির হয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিক্ষার্থীদের আমরা এক হাজার করে টাকা দেবো যাতে করে তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের অধিবেশন শুরু হয়।
অধিবেশনে নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেই আমরা এই ব্যবস্থাটা নিয়েছি। অর্থনীতির চাকাটা যাতে গতিশীল থাকে আর সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। কারণ দেশের মানুষের জন্যই আমাদের এই রাজনীতি। আমরা সাধ্যমত মানুষের পাশে আছি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তখন করোনাভাইরাস মোকাবিলা, ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য কাজে যে সকল মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা ছিল তারা কাজ করেছে। আমাদের কিছুদিন থমকে যেতে হয়েছিল। সবকিছু প্রায় বন্ধ অবস্থায় ছিল। সব কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও সরকার কিন্তু বসে থাকেনি। যার কারণে আমরা রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে পেরেছি।
Read More News
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এর কারণে আমাদের বিদেশ যাওয়া নেই, বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি নেই। এসব কারণে আমাদের বেশ সাশ্রয় হয়েছে। সেটা আমরা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে পারছি। মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাঝখানে কিছুদিন রপ্তানি একটু থমকে গেলেও আমাদের আমদানি-রপ্তানি এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে গার্মেন্টসগুলো যা চেয়েছে আমরা সেইভাবে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন প্রাপ্তির জন্য সবদেশের সাথেই চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। অর্থও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যে দেশ আগে ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসবে সেটিই সংগ্রহ করা হবে।