বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক সৈয়দ এ.কে.এম.এমদাদুল বারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
Read More News
সৈয়দ এ.কে.এম.এমদাদুল বারী সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫০মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমদাদুল বারীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৩শে নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রানীখার গ্রামে। রানীখার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি শিক্ষাজীবন শুরু করেন। তালশহর এআই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। প্রথম বিভাগ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার হাজী আসমত কলেজ থেকে। তারপর ঢাকা সলিমুল্লাহ একাডেমী থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস করেন।
পরে কুমিল্লা থেকে এলএলবি পাশ করেন। আইনপেশায় প্র্যাকটিস শুরু করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরাতন আদালত বিল্ডিংয়ে। ১৯৬৫ সালে কুমিল্লাতে আইনজীবী নিযুক্ত হন। ১৯৬৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে সংসদ নির্বাচন করেন। বিপুল ভোটে গণপরিষদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন।
তারপর ১৯৭১ সালে ২নং সেক্টর থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ৭০ দশকে কসবা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন আর ২০১০ সালে হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ প্রশাসক নিযুক্ত হন ২০১১ সালে।