রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদের প্রতারণার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, শাহেদ সাতক্ষীরা এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু র্যাব তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
শাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলা রয়েছে। তিনি করোনার ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট দিতেন। এতে রোগীর কাছ থেকে তিনি অর্থ নিয়েছেন। আবার সরকারের কাছ থেকেও তিনি অর্থ নিয়েছেন। শাহেদকে নিয়ে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
Read More News
তিনি জানান, শাহেদ খুবই চাতুর্যের সঙ্গে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন। গ্রেফতার এড়াতে তিনি এ কৌশল নিলেও তাকে অনুসরণ করেছে র্যাব। শাহেদ এর মধ্যে একাধিকবার ঢাকায় এসেছেন এবং ঢাকার বাইরে গিয়েছেন। কখনো তিনি নিজের গাড়ি ব্যবহার করেছেন আবার কখনো বাইরের গাড়ি ব্যবহার করেছেন। হেঁটেও বেড়িয়েছেন।
এর আগে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে বুধবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। শাহেদকে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।