সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বান্দ্রা থানায় গিয়ে গোপন জবানবন্দি দেন। প্রায় ৯ ঘন্টার টানা জেরার পর নতিস্বীকার করেন রিয়া। সুশান্তের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়েছিল। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। যে কারণে কিছুদিন আগেই তিনি সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন।
তবে তাঁদের মধ্যে যে একেবারেই কথাবার্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এমন নয়। প্রতিদিন টেক্সট, ভিডিয়ো কল এসব হত। এমনকী সুশান্ত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে রিয়াকে ফোন করতেন। তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা হলেও কখনও কথা বন্ধ হয়নি। শনিবারও সুশান্ত শেষ ফোন করেছিলেন রিয়াকেই। সুশান্তের ঘনিষ্ঠরাও জানিয়েছেন, প্রতিদিন নিয়ম করে সুশান্ত রিয়াকে একটা ফোন করতেন।
Read More News
রিয়া আরও জানান, নভেম্বরে তিনি আর সুশান্ত বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই মতো বান্দ্রার কাছে ফ্ল্যাটও খুঁজছিলেন তাঁরা। তবে ভাড়া নয়, দুজনে মিলে একটি ফ্ল্যাট কিনতোইতে চেয়েছিলেন।
সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সেই তালিকায় কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া থেকে মহেশ শেট্টি, সুশান্তের অফিসের লোকজন, রাঁধুনি, পরিচারিকা, আবাসনের কেয়ারটেকার সকলেই আছেন। পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন সুশান্তের চিকিৎসক হিন্দুজা হাসপাতালের বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কেরসি চাওলা।
তিনি জানিয়েছেন, রিয়ার ব্যবহারে খুশি ছিলেন না সুশান্ত। যে কোনও ব্যাপারেই রিয়া খুব বিরক্ত হত। রিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে শিলমোহর দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্টও করেছিলেন। কিন্তু জোর করে ঝামেলা-ঝাটির পর রিয়া সুশান্তকে দিয়ে ডিলিট করান সেই পোস্ট।