করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে যখন যেখানে প্রয়োজন হবে তখন সেখানেই ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হবে। আজ মঙ্গলবার জোনভিত্তিক লকডাউন নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রেড জোন ঘোষণা বা রেড জোন পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই যখন প্রয়োজন তা করা হবে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে সবার বিভ্রান্তি নিরসন হওয়া প্রয়োজন।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিমাণ হার বাড়ছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১০ জুন কতিপয় নির্দেশাবলী জারি করেন।
এই নির্দেশাবলীর উদ্দেশ্য কোভিড-১৯ রোগের চলমান ঝুঁকি বিচেনায় বাংলাদেশের যে কোনো ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা এবং তা বাস্তবায়ন করা।
Read More News
জোন ঘোষণার ক্ষমতা আইনানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনের কাছে অর্পণ করা হয় এবং বলা হয় তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন। জোন সুনির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোন অংশে কার্যকর হবে এবং এর পরিধি কী হবে তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্থানীয় কমিটিগুলোকে নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত কৌশল বা গাইড তৈরি করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে বিতরণ করেছে। এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে (www.dghs.gov.bd) পাওয়া যাবে।