এক দিন চুপ করে থাকার পর অবশেষে মুম্বাইয়ের আর এন কুপার জেনারেল হাসপাতালে সুশান্তকে দেখতে গেলেন ‘প্রেমিকা’ রিয়া চক্রবর্তী। সাদা পোশাক, সাদা মাস্কে ঢাকা মুখ এ রিয়াকে চেনা যায় না।
আজ সোমবার দুপুরবেলায় হাসপাতালে পৌঁছান এই বাঙালি মেয়ে। সাদা ওড়নায় ঢাকা ছিল তাঁর মাথা। মাস্কে ঢাকা মুখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল তাঁর ক্লান্ত চোখ।
Read More News
পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্মহত্যার উল্লেখ রয়েছে বলেই জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। তাই, এবার তাঁর ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানা যাচ্ছে, মুম্বই পুলিশ শীঘ্রই রিয়ার বয়ান রেকর্ড করবে।
রবিবার সুশান্তের মৃত্যুর পর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি রিয়া। এরপর সোমবার সকালেই হাসাপাতালে আসতে দেখা গেল তাঁকে। সাদা সালোয়ারে, মুখ ঢেকে হাসাপাতালে ঢোকেন রিয়া, যে হাসপাতালে সুশান্তের পোস্টমর্টেম হয়েছে।
একাধিকবার পাপারাৎজির ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। সেই সম্পর্কও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি কেউ। তবে, শোনা গিয়েছিল, রিয়ার সঙ্গে বিয়ের জন্য বেশ তাড়াহুড়ো ছিল তাঁর। একের পর এক সম্পর্কের জেরে ‘প্লে বয়’ ইমেজ তৈরি হয়ে যাচ্ছিল সুশান্তের। আর সেটা ভাঙতেই নাকি দেরি না করে সংসার পাততে চেয়েছিলেন অভিনেতা।
অভিনেত্রী রিয়ার বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। সৈনিক পরিবারে মানুষ। তাই রিয়ার ছোটবেলা কেটেছে ভারতের নানা প্রান্তে। পড়াশোনা করেছেন হরিয়ানার আম্বালার আর্মি পাবলিক স্কুলে। অভিনয়ে আসার ইচ্ছা ছিল ছোট থেকেই। ২০০৯-এ এমটিভি আয়োজিত এক রিয়্যালিটি শো-তে বিজয়ী হয়েই বিনোদন জগতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। এর পর তেলুগু ছবি দিয়ে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু। বলি ব্রেক মেলে ২০১৩-তে। ছবির নাম ‘মেরে ড্যাড কি মারুতি’।
‘কেদারনাথ’ মুক্তির পর যখন সারা আর সুশান্তের প্রেম নিয়ে খুব গুঞ্জন বাজারে ঠিক সেই সময়েই সবাইকে অবাক করে গত বছরের জুনে রিয়ার সঙ্গে লাদাখ ঘুরতে যান সুশান্ত। তার ঠিক কয়েক মাস পর, অক্টোবরের মাঝামাঝি চুপিচুপি প্যারিস পাড়ি দিয়েছিলেন রিয়া-সুশান্ত। তারকা মানুষ তাই ফাঁস হতে সময় লাগেনি।