রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ১২ টি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মধ্যে ৯ টি’ই মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামও আজ ইউনাইটেড হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের সম্প্রসারিত অংশে ফায়ার ফাইটার, ফায়ার ড্রিল এবং ফায়ার-টিম ছিল না। ১২টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের মধ্যে মাত্র তিনটির মেয়াদ ছিল। অন্য ৯ টি’ই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। হাইড্রেন্ট কে চালাবে, কে কাজ করবে, কার দায়িত্ব এগুলো সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।
মেয়র বলেন, হাসপাতালে মানুষ ভর্তি হয় আরোগ্য লাভ করার জন্য, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে তারা এখানে অগ্নিদুর্ঘটনায় মারা গেলেন।
ঢাকার গুলশানে হাসপাতালটি পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) দেবাশীষ বর্ধন বলেন, আইসোলেশন সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছি অস্থায়ীভাবে। সেখানে একটি সানশেডের নিচের রোগীরা মারা যায়। টিন শেড দিয়ে হাসপাতালের সম্প্রসারিত অংশে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছিল। পার্টিশনের জন্য সেখানে পার্টেক্সের মতো দাহ্য বস্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর ভিকটিমরা সেখান থেকে আর বের হতে পারেননি।
Read More News
ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দেবাশীষ বর্ধন তদন্ত কমিটির প্রধান।
বুধবার (২৭ মে) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের বর্ধিত অংশে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই আগুনে পাঁচ জন রোগী মারা গেছেন। তারা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে ছিলেন। পাঁচ জনের মধ্যে চার জন পুরুষ ও একজন নারী।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ মাহবুব (৫০), মনির হোসেন (৭৫), ভেরন অ্যান্থনি পল (৭৪), খোদেজা বেগম (৭০) ও রিয়াজ উল আলম (৫০)। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকি দুজনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তারা রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিলেন। তারা সবাই প্রফেসর ড. মো. ওমর ফারুকের তত্ত্বাবধানে করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।