ঈদের ছুটির পর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়াবে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর সম্ভাব্য সংখ্যা বিবেচনায় রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সঙ্কটাপন্ন রোগীদের জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি সুযোগ সুবিধা থাকায় এই ক্ষেত্রে কর্পোরেট ও বেসরকারি হাসপাতালকে সরকারি তত্ত্বাবধানে আনার তাগিদ তাদের।
সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাড়ি ফেরা মানুষের এবার ঢাকা ফেরার পালা। ধারণা করা হচ্ছে, জীবিকার তাগিদেই কয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকামুখী হবে মানুষের ঢল। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে সংক্রমণের হার আগের সব রেকর্ড ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সামনের দিনগুলিতে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থাকায় বাড়বে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও। ইতোমধ্যেই পূর্ণ হওয়া কোভিড হাসপাতালগুলো বাড়তি রোগীর চাপ কতটা নিতে পারবে সে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। আশঙ্কা করা হলেও নেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি।
ঢাকা থেকে আজও হাজার হাজার মানুষ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে বাড়ি ছুটছেন। অন্যদিকে কোনো রকম বিড়ম্বনায় যাতে না পড়তে হয়, সেকারণে কর্মস্থল রাজধানী ঢাকায় যোগ দিতে আগেভাগেই পারাপার হচ্ছেন অনেক যাত্রী। সকাল থেকে ঘাটের উভয় পাড়ে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোটবড় কয়েকশ’ যানবাহন। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৪টি ফেরি এই নৌরুটে চলাচল করছে।
Read More News
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ ছোট ছোট যানবাহনে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন। এরমধ্যে কোথাও কাউকেই মানতে দেখা যায়নি স্বাস্থ্য বিধি।
আগামী এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে করোনা ও ডেংগুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে এখনই রোগী ভেদে হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।