করোনায় কাঁপছে সারা বিশ্ব। করোনা নিয়ে এখনো গবেষণা করছেন গবেষকরা। এতদিন পর্যন্ত শুধু সর্দি, কাশিই ছিল করোনার উপসর্গ।
কয়েক দিন আগে গবেষকরা জানিয়েছিলেন, বার বার শরীরে কাঁপুনি, পেশী ব্যথা, মাথা ব্যাথা, গলা ব্যথা এবং কোনো কিছুর স্বাদ না পাওয়াও হতে পারে করোনার লক্ষণ।
তাছাড়া কোনো লক্ষণ দেখা দেয়া ছাড়াও যেকোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। চোখ লাল বা গোলাপি হয়ে যাওয়া, রক্তবর্ণ হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বলতে থাকা, চোখ থেকে পুঁজ পড়া, চুলকানি সৃষ্টি হওয়া বা পানি পড়াকে কনজেক্টিভাইটিস বলা হয়।
Read More News
যুক্তরাজ্যের ইয়েল মেডিসিনের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ভিসেন্টে ডিয়াজ বলেছেন, ছড়িয়ে পড়া অনেক রোগই চোখকে প্রভাবিত করতে পারে। সাধারণত ফলকুলা কনজেক্টিভাইটিস সৃষ্টি করতে পারে। আমরা জেনেছি যে কোভিড-১৯ কিছু সংখ্যক লোকের চোখের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। চোখে করোনার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গবেষকরা বলছেন, ধারণা করা হচ্ছে, চোখ উঠা বা চোখ রক্তবর্ণের আকার ধারণ করাও হতে পারে করোনার লক্ষণ।
আর এবার আরো একটি নতুন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মার্কিনী গবেষকরা দেখেছেন পুরনো উপসর্গ ছাড়াও একাধিক লক্ষণ শরীরে দেখা দিলেই করোনা প্রবলভাবে আক্রান্ত হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা বলছেন ৬টি লক্ষণের কথা। তারা বলছেন, শরীর ঠাণ্ড হয়ে যাওয়া, বার বার কাঁপুনি, পেশী ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথা ব্যাথা এবং কোনো কিছুর স্বাদ না পাওয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। এর মধ্যে নতুন সংযোজন হলো শরীর হঠাৎ করে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া।
বিশ্বে ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮২ হাজার নয়শ ৫৪ জন। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখের দোর গোড়ায়। ৫৫ হাজার ছাপিয়েছে মৃত্যুর মিছিল। এমন পরিস্থিতিতে সেদেশে করোনার একাধিক নতুন উপসর্গ ধরা পড়ছে।