উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস

চীনের উহানের এক ল্যাবরটরি থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল ফক্স নিউজের রিপোর্ট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজের রিপোর্ট তথ্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে এই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা চলাকালীন দুর্ঘটনাবশত এক ইনটার্ন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যায়। সেই হল ‘পেশেন্ট জিরো’।

ফক্স নিউজের এই রিপোর্ট বলছে, উহানের ওয়েট মার্কেট যেখান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে বাদুড় বিক্রি হয় না। এই তথ্য বেইজিং সরকার দ্বারা প্রদত্ত। কারণ ল্যাবের কথা তারা অস্বীকার করেছে। ফক্স নিউজ বলছে, উহানের ওই ল্যাবে এই ভাইরাস নিয়ে চর্চা করা হচ্ছিল। সেখান থেকেই এক ইন্টার্ন ভুলবশত সংক্রমিত হয়ে পড়ে। তার থেকেই পরবর্তী সময় এই ভাইরাস অন্য মানুষের দেহে ছড়িয়েছে।
Read More News

ইতিমধ্যেই খোদ চীনের এক রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হয়েছে, বাদুড় করোনাভাইরাস বাহক হলেও তার থেকে মানুষের সরাসরি সংক্রমণ হওয়া অসম্ভব। তাই মনে করা হচ্ছে, হয় বাদুড়ের দেহে জিনের পরিবর্তন ঘটে এই ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়েছে, কিংবা বাদুড় থেকে প্যাঙ্গোলিনে সংক্রমণ হওয়ার পরে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ফক্স নিউজের রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেই রিপোর্টে বাদুড়ের বিষয় স্বীকার করা হলেও, বাকি তথ্য স্বীকার করা হয়নি। এই রিপোর্ট বলছে, করোনাভাইরাস কোনও বায়োওয়পেন নয়, ভুলবশত ল্যাবরটরি থেকে সংক্রমণ শুরু হয়েছে।

ফ্রান্সের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লুক মন্টানিয়ের এই প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন। তাঁর দাবি, উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস।

এই প্রসঙ্গে ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, চিনের উহান থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। সেখানেরই একটি ল্যাবে চলতি শতকের গোড়ার দিক থেকেই করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে। ওখানে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা এই ভাইরাসের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। করোনা ভাইরাসের কোষের মধ্যে এইচআইভি-র কিছু অংশের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। ম্যালেরিয়ার জীবাণু থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

তাঁর এই মন্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। তাহলে কি সত্যিই গোটা বিশ্বে করোনা মহামারী আকার নেওয়ার জন্যে দায়ী চিনই। যদিও এই বিজ্ঞানীর দাবি আবার অনেকেই মানেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *