অবেশেষে তসলিমার আক্রমণের শিকার মাদার তেরেসা!

ধর্ম ও পুরুষবিদ্বেষী বিতর্কিত এবং নির্বাসিত লেখিকা তসমিলাম নাসরিনের অশ্রাব্য আক্রমণের শিকার এবার মাদার তেরেসাও। জন্মভূমি, প্রধানমন্ত্রী, দেশের নেতা-নেত্রী, ধর্ম, কবি সাহিত্যের পর এবার তিনি আক্রমণ করলেন সারা বিশ্বের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বকে।

মাদার তেরেসাকে ‘অসৎ আর লোভী মহিলা’ বলে মন্তব্য করেছেন তসলিমা। পাশাপাশি তাকে সেইন্ট বানানোর ঘোষণায় ক্যাথলিক চার্চের কাছে ‘সততা আর মানবতার কোনও মূল্য নেই’ বলেও মন্তব্য তার। এ জন্য তিনি ক্যাথলিক চার্চেরও সমালোচনা করেছেন।
তসলিমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে এমন সব মন্তব্য করেছেন।
Read More News

তসলিমা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘মাদার টেরেসাকে সেইন্ট বানানো হবে। একটা অসৎ আর লোভী মহিলাকে সেইন্ট বানানোই প্রমাণ করে ক্যাথলিক চার্চের কাছে সততা আর মানবতার কোনও মূল্য নেই। মাদার টেরেসা গরিবের বন্ধু ছিলেন না কখনও, বরং গরিবকে তিনি ব্যবহার করেছিলেন নিজের স্বার্থে। গরিব অসুস্থ লোক– যাদের কোনও ঘরবাড়ি নেই, রাস্তায় পড়ে আছে, ভুগছে– তাদের তিনি তাঁর সেন্টারে স্ট্রেচার দিতেন শোয়ার জন্য, অবশ্য কারওর অসুখ সারানোর চেষ্টা করতেন না, কাউকে কোনও হাসপাতালে পাঠাতেন না। স্ট্রেচারে শুয়ে যেন গরিবরা মারা যায়, আর তিনি যেন গরিবকে দয়া করার করার কারণে স্বর্গে যাওয়ার চাবিটা নিজের হাতের মুঠোয় পেয়ে যান। প্রচণ্ড যন্ত্রণা থেকেও চাইতেন না মুক্তি পাক কেউ। বলতেন, এই যন্ত্রণা ঈশ্বর দিচ্ছেন, এই যন্ত্রণা সইলে ঈশ্বর খুশি হবেন। বলতেন, তোমাদের যন্ত্রণা যীশুর যন্ত্রণার মতো, যীশু যেমন ক্রুসবিদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণা পেয়েছেন। দারিদ্র দূর করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর কখনও ছিল না। দুর্নীতিবাজ আর পাঁড় ক্রিমিনালদের কাছ থেকে, চোর ডাকাত কাউকে বাদ দেননি, সবার কাছ থেকেই, টাকা নিয়েছেন। বদমাশগুলোকে সমাজের চোখে মহৎ দাতা বানিয়েছেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘১০০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশে থাকতেন, গর্ভপাত আর জন্মনিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। অঢেল টাকার মালিক ছিলেন, ইচ্ছে করলে কি পারতেন না কলকাতায় একটা আধুনিক হাসপাতাল বানাতে? পারতেন কিন্তু বানাননি। অঢেল টাকা ঢেলে গেছেন নানান দেশে মাদার টেরেসা ক্রিশ্চান মিশনারী সেন্টার বানানোর জন্য।’

তসলিমার ভাষায় ‘সেইন্ট যারা বানান’ আর ‘সেইন্ট যিনি হন, তাঁরা কেউ সুবিধের লোক নন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *