২৬ বছর পর ভারতের ইডেন গার্ডেনে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর এশিয়া কাপের চতুর্থ আসরের তৃতীয় ম্যাচে ইডেন গার্ডেনে খেলতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে ওই ম্যাচটি ৭১ রানে হেরেছিলো মিনহাজুল আবেদিনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘টু’ এর দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের নন্দন কানন কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায়।
Read More News
দীর্ঘদিন পর ইডেন গার্ডেনে খেলতে নামার সুযোগে পাকিস্তানকে চমকে দেয়ার অপেক্ষায় মাশরাফিবাহিনী। পাক-বাংলা লড়াইয়ে কে জিতবে, এই নিয়ে সরগরম দুই দেশ। অতীত রেকর্ড, অভিজ্ঞতা পাকিস্তানের পক্ষে। কিন্তু সর্বশেষ দুই লড়াইয়ে দুইবারই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে, সেগুলো দেশের মাটিতে। এ কারণেই হয়ত পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন অধিনায়ক মাশরাফি। যদিও সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপের ম্যাচটিতেও পাকিস্তানকে এগিয়ে রেখেছিলেন ম্যাশ। কিন্তু ম্যাচটা জিতেছিল বাংলাদেশই।
এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরমটেও ভাল করার যে ইঙ্গিতটা দিয়ে রেখেছিল টাইগাররা, সেটা দেখা গেছে বাছাই পর্বেও। ভয়ডরহীন ক্রিকেটের যে ফর্মুলায় বাংলাদেশ এগুচ্ছে, সেটা ধরে রাখতে পারলে সুপার টেনেও চমক দেখাতে পারে দলটি। যদিও অত্যন্ত কঠিন গ্রুপে থেকে লড়তে হচ্ছে টাইগারদের।
এই গ্রুপ থেকে শেষ চারে ওঠা কঠিন স্বপ্ন। সেই কঠিন স্বপ্ন সহজ করতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই। এদিকে, বদলা নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে আছে পাকিস্তান। সরফরাজ খান, শোয়েব মালিক, উমর আকমল এশিয়া কাপে ভাল খেলেছেন। আহমেদ শেহজাদ, শারজিল খান ও মোহাম্মদ হাফিজের ফর্মে ফেরার অপেক্ষায় পাকিস্তান।
মোহাম্মদ আমির, ইরফান ও ওহাব রিয়াজকে নিয়ে গড়া পাকিস্তানের পেস আক্রমণ নিয়েই যত চিন্তা বাংলাদেশের। ইডেনের উইকেটে যেমন টার্ন আছে, তেমনি আছে বাউন্স। তাই আমিরদের সামলানোটা হবে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ টাইগারদের।
যদিও তামিম, সাব্বির, রিয়াদ আছেন ফর্মের তুঙ্গে। গত ম্যাচে ৯ বলে ১৭ করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গত দিয়েছেন সাকিব। সৌম্য, মুশফিক যদি রানে ফিরেন তাহলে পাকিস্তান পেস হুমকি মোকাবেলা করে ফেলতে পারে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান ম্যাচে চার পেসার নিয়ে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু সিদ্ধান্তটা কেমন ফল দেয়, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। নাসিরকে উপেক্ষা করে মিথুনকে একাদশে নেওয়াটাও প্রশ্ন। যতদূর জানা গেছে, এ ম্যাচেও মিথুনকে খেলাচ্ছেন কোচ। বাদ রাখা হচ্ছে অল রাউন্ডার নাসিরকে। এই বিতর্কিত কাজটা তিনি এশিয় কাপ থেকেই করে আসছেন!
এক নম্বর পেসার মুস্তাফিজকে নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। ম্যাচ শুরুর কিছু আগে তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মোর্তুজা। মুস্তাফিজ না খেললে, একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি রনির। যদিও আর্ন্তজাতিক ম্যাচে তিনি ভালো করতে পারছেন না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ভরা গ্যালারির সমর্থন থাকবে বাংলাদেশের দিকেই। আর পরের ম্যাচ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে। এমন দিনে বিশ্বকাপের মতো আসরে মাঠে নামা বাংলাদেশ যে বাড়তি উদ্যোম নিয়ে খেলবে সেটি বলাই যায়। টি-টোয়েন্টিতে পরিবর্তীত বাংলাদেশকে দেখছে বিশ্ব। বিশ্বকাপে টাইগারদের পারফরম্যান্সে হয়তো নতুনভাবে বাংলাদেশকে চিনবে ক্রিকেট বিশ্ব। সেই আশায় বুক বেঁধে বাঙালি জাতি…….