আজ সোমবার সকালে ইভিএম ব্যবহার-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন কারেন (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা।
কে. এম. নুরুল হুদা বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নির্ভর করবে আইনকানুন, প্রশিক্ষণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমর্থনের ওপর। আমরা এখন প্রস্তুতিমূলক অবস্থানে রয়েছি। জাতীয় সংসদে যদি আইন পাস হয়, তখন আমাদের প্রশিক্ষিত লোকজনের যদি সক্ষমতা অর্জন হয় এবং জনগণের কাছে যদি গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে যতটুকু পারব ততটুকু জায়গায় ইভিএম ব্যবহার করব।’
Read More News
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। সরকার যদি আইন পাস করে দেয় আর পরিবেশ পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে, তবে সংসদ নির্বাচনে র্যানডমলি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আমরা যদি মনে করি, তিনশ আসনের মধ্যে ২৫টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। তবে আমরা র্যানডমলি আসনগুলো বাছাই করব। এখানে কারো পছন্দ-অপছন্দের বিষয়ে থাকবে না।’
সিইসি বলেন, ‘কোনো কিছু নতুনভাবে শুরু করলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। ইভিএম কীভাবে ব্যবহার হবে, সেটা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে তাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা থাকবে, সেটাই তারা করেছে। অনেক প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে, সেগুলো প্রাসঙ্গিক। এগুলো নিয়ে আমরা ব্যাপকভাবে প্রচারে পৌঁছাতে পারিনি।’
কে. এম. নুরুল হুদা আরো বলেন, ‘প্রযুক্তি এখন বাক্সে বন্দি নেই; মানুষের হাতে হাতে, চিন্তা-চেতনায় প্রবেশ করেছে। ২০১০ সালে যখন ইভিএম শুরু হয়, তখন ভুলত্রুটি ছিল। তবে এখন আমরা উন্নত প্রযুক্তি এনেছি। আমরা মেলাগুলোতে এগুলো ব্যাখ্যা করব, মানুষের বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করব।’