মূল পর্বের লক্ষ্যে আজ ওমানের মুখোমুখি টাইগাররা

ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ হিসেবে ওমান বাংলাদেশের জন্য একেবারেই অচেনা। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশটির বিপক্ষে এর আগে কখনোই কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। এই অচেনা ওমানকেও খাটো করে দেখতে নারাজ বাংলাদেশ। তাই এই দলের বিপক্ষে কিছুটা সতর্ক মাশরাফিরা।

ওমানের কাছে আয়ারল্যান্ডের নাটকীয় হার আর দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে রবিবার শুরু হতে যাওয়া প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচটি।

ধর্মশালায় এই ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। ম্যাচটি দু’দলের জন্যই অনেকটা অঘোষিত ফাইনাল। কারণ যে দল জিতবে সে দলই সুপার টেনে উঠে যাবে।

শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে এই ম্যাচে বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে ফেভারিট। তারপরও প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখতে নারাজ বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক।
Read More News

শনিবার ধর্মশালায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিথ স্ট্রিক বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে এই ওমানই আয়ারল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছে। তাই তাদের মোটেও খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তাই বড় দলগুলোর বিপক্ষে যে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতাম আমরা, এই দলটিকেও ততেটাই গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা।’

ওমানকে গুরুত্ব দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে হিথ স্ট্রিক বলেন, ‘আসলে ওমানের বিপক্ষে আমাদের এর আগে কখনোই খেলার সুযোগ হয়নি। তাই তাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে খুব বেশি তথ্যও নেই। তাই অচেনা প্রতিপক্ষকে নিয়ে একটু সতর্ক থাকতেই হচ্ছে আমাদের।’

বাছাই পর্বের ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার টেনে ওঠার জন্য এই ওমানই এখন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। দু’দলেরই সমান তিন পয়েন্ট করে রয়েছে। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আট রানে জিতলেও নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলেছে ১৫৩ রান। আর দ্বিতীয় ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়েছে ঠিক, কিন্তু রান তোলার হার বেশ ভালো ছিল, কার্টেল ওভারের সেই ম্যাচে ৮ ওভারেই মাশরাফিরা তুলেছে ৯৪ রান।

তাই বাংলাদেশের এখন নেট রান রেট আছে +০.৪০০। আর ওমানের নেট রান রেট +০.২৮৩। স্বাভাবিক কারণে মাশরাফিরা কিছুটা এগিয়ে আছে। তাই বৃষ্টির বাধায় যদি শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি নাও হয়, বাংলাদেশেরই পরবর্তী পর্বে ওঠার সম্ভাবনা বেশি।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, আবু হায়দার রনি, তাসকিন আহমেদ ও আল-আমিন হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *