কালবৈশাখীর সঙ্গে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম বজ্রপাত। বৈশাখের সামনের দিনগুলোতে বাড়তে পারে ঝড় এবং বজ্রপাত। গবেষণার তথ্য বলছে, বছরে বজ্রপাতে মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ মানুষই মারা যাচ্ছে মে মাসে। তাই মে মাসে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
বিকট গর্জন করে নেমে আসা বজ্রপাতে ঘটছে আকস্মিক মৃত্যু। এপ্রিল ও মে মাসে সবচেয়ে বেশি কালবৈশাখী হয়ে থাকে আমাদের দেশে। এই মাসে ঝড়, বজ্রপাত, বৃষ্টি এগুলো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সারা দেশেই। এখন ঝড় হলেই বৃষ্টি হবে, শিলাবৃষ্টি হবে, বজ্রপাত হবে।
Read More News
গবেষকের মতে, বজ্রপাতে সৃষ্ট তাপমাত্রাও এখন দুই হাজার ডিগ্রি বেড়ে পৌঁছেছে ৩০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং ৫০ কিলোভোল্ট বেড়ে আছড়ে পড়ছে ৩৫০ কিলো ভোল্ট শক্তি নিয়ে। দেশের নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, বরিশাল সদর এবং সাতক্ষীরা ও কক্সবাজারের উত্তরাংশ বেশি বজ্রপাতপ্রবণ উল্লেখ করে গবেষকরা বলছেন, বজ্রপাতে প্রাণহানির ৯৩ শতাংশই হচ্ছে গ্রামীণ জনপদে। তার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে মারা যাচ্ছে ৮৬ শতাংশ মানুষ।
উন্মুক্ত স্থানে কাজ করছেন মূলত আমাদের কৃষক শ্রমিক ও জেলেরা। তাঁদের জানাতে হবে যে, কোনো বজ্র-ঝড় বা যেকোনো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেই তারা যেন নিরাপদ একটা জায়গায় চলে যায়। কৃষি জমিতে অনেক ভারী ভারী কৃষি যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে, যেটা বজ্রপাতকে ওই জায়গাটাতে টেনে নেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যন্ত্রাংশ ব্যবহার করলে তারা যেন সেটি ভালো আবহাওয়ায় ব্যবহার করেন।
গাড়িতে থাকা অবস্থায় ধাতব অংশ স্পর্শ না করা, মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং এগুলোর সংযোগ সকেট থেকে খুলে রাখা এবং বহুতল ভবনে বজ্রপাত শোষক দণ্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।