মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগর হাওলা গ্রামের বাড়িতে শায়িত হলেন আলোকচিত্রী এফ এইচ প্রিয়ক ও তাঁর শিশুকন্যা প্রিয়ন্ময়ী তামাররা।
এ সময় জানাজায় অংশ নিতে আশপাশের গ্রামগুলোসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষের ঢল নামে।
প্রিয়কের মা ফিরোজা বেগমের ইচ্ছে ছিল, বাসার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে যাতে জীবনের বাকিটা সময় ছেলে ও নাতনির কবর দেখে এবং দোয়া করে সময় কাটাতে পারেন আর তাই এখানেই হলো তাদের শেষ শয্যা।
Read More News
এ ছাড়া প্রিয়কের এই তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় বসার ঘরটিতে সংরক্ষণশালা করা হবে। প্রিয়কের বিভিন্ন শিল্পকর্মসহ তাঁর স্মৃতিবিজড়িত জিনিসগুলো রাখা হবে এখানে।
১২ মার্চ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নেপালেই নিহত হন প্রিয়ক ও তাঁর মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী। অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যাওয়া অ্যানি, মেহেদী ও স্বর্ণাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে নেপালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসার পর গত শুক্রবার প্রিয়কের স্ত্রী অ্যানী, মেহেদী ও মেহেদীর স্ত্রী স্বর্ণাকে নেপালের হাসপাতাল থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
নিহত স্বামী ও সন্তানের লাশ সোমবার দেশে আনা হলে তাঁদের মৃত্যুর সংবাদ জানানোর জন্য স্বজনরা অ্যানিকে বাড়িতে নিয়ে যান। তাঁকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। অ্যানির ডান গোড়ালিতে ব্যথা রয়েছে, কিন্তু হাড় ভাঙেনি, লিগামেন্টে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তিনি এখন মোটামুটি ভালো আছেন। তবে যেহেতু তাঁর স্বামী ও সন্তান মারা গেছে, তাই তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। হাসপাতালে তিনি বারবার তাঁর মেয়ের খোঁজ করছিলেন।