একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার বিকালে তারেক রহমানের ১০ম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ছাত্রদলের উদ্যোগে নয়াপল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এই অভিযোগ করেন। এতে তারেক রহমানের আশু সুস্থতার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে তবারক বিতরণকালে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় একপক্ষের হাতে লাঠিও দেখা যায়।
Read More News
পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান এখন নির্বাসিত। তাকে দেশে আমাদের মাঝে আসতে দেয়া হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ তাকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে সারানোর জন্য এই চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকে একেবারে রাজনীতি শূন্য করে দেয়া, পরীক্ষিত রাজনীতিকদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ১/১১ এ চক্রান্ত হয়েছিল। তারা তারেক রহমানে বিরুদ্ধে একইভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারেক রহমানকে সেনানিবাসের বাসা থেকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে প্রতিবছর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিনটিকে তারেক রহমানের ‘কারাবন্দি’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবীর খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, এবিএম মোশাররফ হোসেন, রফিক শিকদার, সাবেক ছাত্র নেতা আবদুল কাদের ভুঁইয়া, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, ছাত্রদল নেতা এজমল হোসেন পাইলট, আসাদুজ্জামান আসাদ, মুশফিকুর রহমান লেলিন, শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।