গৃহকর্মীর লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ

রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে ন্যাম গার্ডেনের একটি বাসায় ধর্ষণের পর গৃহকর্মীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে ওই গৃহকর্মীর স্বজনেরা কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আজ সোমবার এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন। পরে তাঁরা লাশ নিয়ে কাফরুল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন।

ওই গৃহকর্মীর নাম জানিয়া বেগম (১২)। সে মিরপুর-১৩ নম্বরে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা ন্যাম গার্ডেনের তিন নম্বর ভবনের ৪০৩ বি-তে কাজ করত। বাসাটি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যুগ্ম সচিব আহসান হাবিবের।

জানিয়ার মা ফুল বানুর ভাষ্য, তিনি নিজে ওই বাসায় কাজ করতেন। কয়েক দিন ধরে অসুস্থ থাকায় মেয়ে জানিয়াকে ওই বাসায় কাজে পাঠান। পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে জানিয়া তাঁর দ্বিতীয় সন্তান। গতকাল রোববার সেনপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে কাজ করতে মেয়ে ন্যাম গার্ডেনের ওই বাসায় যায়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ তাঁকে খবর দিয়ে ওই বাসায় যেতে বলে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, মেয়ের লাশ পড়ে আছে। মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন।
Read More News

ফুল বানুর অভিযোগ, ওই বাসার সরকারি কর্মকর্তার ছেলে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের পর মেরে ফেলেছে। তিনি দাবি করেন, তিনি পুলিশের কাছে কান্নাকাটি করেছেন, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর লাশ আজ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর তাঁরা ওই লাশ নিয়ে কাজীপাড়ায় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে কাজীপাড়া পর্যন্ত রোকেয়া সরণি অবরোধ করেন।

ক্ষুব্ধ স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন।

শাহাবুদ্দিন নামের এক ট্রাফিক পরিদর্শক বলেন, আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে গেছেন।

জানিয়ার স্বজনেরা লাশ নিয়ে কাজীপাড়া থেকে ন্যাম গার্ডেনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ন্যাম গার্ডেনের মূল ফটক ভেতর থেকে আটকে দেওয়া হয়। তখন বিক্ষুব্ধ লোকজনের একটি অংশ জানিয়ার লাশ নিয়ে কাফরুল থানার সামনে নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। জানিয়ার মা ফুল বানুসহ কয়েকজন ন্যাম গার্ডেনের গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আসলাম উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়েছে। মেয়ের বাবা ওসমান গনি মামলাটির বাদী। কেন অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হলো—এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *