খুন হওয়ার ৪০ বছর পর আদালতের নির্দেশে তোলা হলো এক মুক্তিযোদ্ধার লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সদ্যবিলুপ্ত শালবাড়ি ছিটমহলে।
শনিবার দুপুরে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আউয়ালের উপস্থিতিতে ওই মুক্তিযোদ্ধার লাশ কবর থেকে তোলে পুলিশ।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালে জমি-জমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হওয়া মুক্তিযোদ্ধা আজিমুল হক ছিটমহলের বাসিন্দা হওয়ায় এতদিন বিচারবঞ্চিত ছিলেন ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। অবশেষে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ছিটমহল বিনিময়ের পর নিহত মুক্তযোদ্ধা আজিমুল হকের ছোট ভাই ১৩ জনকে আসামি করে পঞ্চগড় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বোদা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।
বোদা থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে মামলাটির প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়। পঞ্চগড় আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণকান্ত রায় ৪০ বছর আগে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়া মুক্তিযোদ্ধা আজিমুল হকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলনের আদেশ দেন।
Read More News
আদালতের নির্দেশে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আউয়ালের উপস্থিতিতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এসআইএম রাজিউল করিম রাজু, বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোদা থানার উপ-পরিদর্শক দীন মোহাম্মদ আব্দুল করিমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কবর খননকারী একটি দল ওই মুক্তিযোদ্ধার লাশের দেহাবশেষ ও মাটিসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এসআইএম রাজিউল করিম রাজু জানান, লাশের দেহাবশেষ, মাটিসহ বিভিন্ন আলামত ময়নাতদন্ত শেষে আলামতগুলো ঢাকা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।