যেসব নারী যৌন হেনস্তার দাবি তুলছেন, হেনস্তাকারীদের সঙ্গে তাঁরাও সমানভাবে দোষী। বিশ্বব্যাপী নারী সেলিব্রেটিরা যখন যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, ঠিক তখনই বলিউড অভিনেত্রী টিসকা চোপড়ার এমন মন্তব্যে নেটদুনিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অস্কারজয়ী প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টাইনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন হলিউডের প্রথমসারির নায়িকারা। তারপরই অস্কার অ্যাকাডেমি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই প্রযোজককে। সঙ্গে সঙ্গে সাহসী হয়ে ওঠেন বিশ্বের প্রতি প্রান্তের নারীরা। মি টু (#Metoo) হ্যাশট্যাগে গোটা দুনিয়া জুড়ে নারীরা তাঁদের যৌন হেনস্তার কথা জানাতে থাকেন। এতদিনের ক্ষোভ ও লজ্জায় গোপন রাখা বিষয়গুলি সোশ্যাল সাইটে তুলে ধরতে আর দ্বিধা করেননি নারী। কালকি কোয়েচলিন, স্বরা ভাস্করের মতো নায়িকারা এই ক্যাম্পেনের পাশে দাঁড়ালেও সেই প্রসঙ্গে উলটো সুর শোনা গেল ‘তারে জমিন পর’ ছবির অভিনেত্রী টিসকা চোপড়ার মুখে।
টিসকা চোপড়া বলেন, অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়েই কথাটা বলছি যে, নারীদের যৌন হেনস্তার জন্য তাঁরা নিজেরাও ততটাই দায়ী যতটা হেনস্তাকারীরা। কারণ তাঁরা নিজেরাই নিজেদের এমন পরিস্থিতিতে ফেলেন।
Read More News
কেন এই নারীরা হোটেল রুমে যেতে রাজি হয়ে যান? কেন নিজেদের নিরাপত্তার কথা একবারও ভাবেন না তাঁরা? নারীরা কি এই সব ব্যক্তিদের ভাবমূর্তির কথা কিছুই আগে থেকে জানতে পারেন না? একজন নারী হিসেবে আমি বলব, সবার আগে নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবুন। নারীরা ‘না’ বলা অভ্যাস করলে তবেই এসব বন্ধ হওয়া সম্ভব। বুঝিয়ে দিতে হবে তারা যা চাইছে তা কখনোই হবে না।
পাশাপাশি যাঁরা চলচিত্র জগতে নাম করতে চায়, সেই নারীদের ক্যারিয়ারে শর্ট-কাট রাস্তা না ধরারও পারমর্শ দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে টিসকা চোপড়ার মন্তব্য অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তাঁকে একহাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকে সমালোচনা করে বলছেন, ফিল্ম নির্মাতাদের গুড বুকে থাকতেই হয়তো একথা বলছেন টিসকা।