জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে এক লাখ টাকার মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এর পরই খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি সোয়া ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আদালতে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এ সময় খালেদা জিয়া এ মামলাকে বানোয়াট ও মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। হয়রানি ও হেনস্তার জন্যই এ মামলা দেওয়া হয়েছে বলেও আদালতে অভিযোগ করেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এই মামলায় হয়রানির কারণে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ব্যহত হচ্ছে। এই মামলায় দুদক যে অভিযোগ এনেছে তাও স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। এটি দুদকের আইনের কর্তৃত্ব ও আওতার বাইরে।
দেশে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা কিসে তুষ্ট এবং কিসে রুষ্ট হবেন, সে কথা মাথায় রেখে বিচারকদের চলতে হচ্ছে।
Read More News
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি নিজেকে খুবই সামান্য একজন মানুষ মনে করি। এই দেশ ও জাতির স্বার্থে আমি জীবনের সীমিত শক্তি, মেধা ও জ্ঞানকে উৎসর্গ করে দিয়েছি।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরে জামিন আবেদন করেন।
বিএনপির চেয়াপারসনের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার। তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জামিন চান। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।