কাতারকে নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলের কূটনৈতিক সংকট নিরসনে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। গত শুক্রবার টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে আমির বলেছেন, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সংলাপে বসতে তাঁর দেশ রাজি। তবে সংকটের সমাধান হতে হবে তাঁর দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেই।
Read More News
সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য দিলেন কাতারের আমির। তাঁর এ ঘোষণার আগের দিনই সংকট সমাধানে গৃহীত উদ্যোগ হিসেবে সন্ত্রাস দমন আইনে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেয় কাতার। সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দানসহ আরও কিছু অভিযোগ তুলেই গত মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। আমিরাত কাতারের সন্ত্রাস দমন আইনে পরিবর্তনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।
টিভি ভাষণে আমির শেখ তামিম বলেন, ‘কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর শর্তে আমরা এই জটিল সমস্যার সমাধানে সংলাপে বসতে প্রস্তুত।’ কাতারকে নজিরবিহীন প্রচারণার শিকারে পরিণত করা হয়েছে, অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংকট নিরসনে কুয়েতের মধ্যস্থতা এবং যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও জার্মানির প্রচেষ্টার তিনি মূল্যায়ন করেন।
দোহার সঙ্গে সম্পাদিত একটি সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত কার্যকর করা ও অবরোধ চলাকালে কাতারবাসীর মৌলিক চাহিদা মেটানোয় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান শেখ তামিম। তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, আমাদের বিরুদ্ধে চালানো প্রচারণা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আমরা একটি পরীক্ষা দিয়েছি ও তাতে সফল হয়েছি।’
আমির বলেন, ‘কাতারকে ধ্বংসের নজিরবিহীন প্রচারণা সত্ত্বেও দেশটির জনগণ যে উঁচু মনোবল দেখিয়েছেন, তাতে সবাই বিস্মিত। এটা এক সত্যিকার নৈতিক পরীক্ষা। আমাদের জনগণ সফলতার সঙ্গে এ পরীক্ষায় পাস করেছেন।’
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযোগেরও জবাব দেন শেখ তামিম। তিনি বলেন, কাতার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে কাউকে খুশি করার জন্য নয়; নিজ বিশ্বাস থেকেই তা করছে। কাতার নিরবচ্ছিন্নভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে এবং এ ক্ষেত্রে কাতারের ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও রয়েছে।
আল থানি অভিযোগ করেন, অবরোধ আরোপকারী চার দেশ কাতারের পররাষ্ট্রনীতি ক্ষতিগ্রস্ত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।