বঙ্গবন্ধুকন্যা যেখানেই যান, সেখানেই নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরে এমন কিছু একটা করেন যা জাতির জন্য চমক। পায়ের জুতা খুলে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে অনায়াসে সাগরের সৈকতে নেমে নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখেন। চলতে ফিরতে পথেঘাটে ছোট্ট শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করেন। অবনত মস্তকে বয়োবৃদ্ধদের জড়িয়ে ধরেন। শীতের সকালে গ্রামের মেঠোপথে ভ্যান গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। আবার বিদেশের মাটিতে ছোটবোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বরফখেলায় মেতে ওঠেন।
এসবের পর এবার আজ নেত্রকোনায় গিয়ে সাধারণ রিক্সায় চড়ে বেড়ালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি খালিয়াজুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে হেলিপ্যাড পর্যন্ত রিকশায় আসেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও হাওরাঞ্চলে শেখ হাসিনার এ রিকশা ভ্রমণ বেশ আগ্রহের সঙ্গে দেখেছে কয়েক হাজার জনতা। পরে তিনি সেখানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
Read More News
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এসব চমকে দেয়ার ঘটনার ছবি তো চেপে রাখা যায় না। তাই বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি কক্সবাজার সফরে প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্রের তীরে পা ভেজানোর ছবি ভাইরাল হয়। এবার বন্যাকবলিত হাওর অঞ্চল নেত্রকোনা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রিকশায় চড়া একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। অনেকেই তার পছন্দের এই ছবিগুলো শেয়ার করছেন। এ যেন এক অন্যরকম নেতা।
৪৫ বছরে দেশে অনেক নেতাই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এমন ব্যাতিক্রম নেতৃত্ব দেশবাসী দেখেনি। নেতৃত্বে দৃঢ়তা, রাজনৈতিক কৌশলে দূরদর্শিতা সিদ্ধান্তে দৃঢ়চেতা এক ব্যক্তিত্ব। দলের নেতাদের কর্মকান্ডের দায়ভার কাঁধে তুলে নেন; আবার দৃঢ়তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের নিজের কঠোর বার্তা দেন। এই হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনায় পরিচয়।