দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। গত ৩০ মার্চ জয়ী হলেও এখন পর্যন্ত গেজেট প্রকাশিত হয়নি, শপথও নিতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে আজ মঙ্গলবার সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, আজ গেজেটের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কাজ গেজেট প্রকাশ করা। শপথ করানোর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ। তিনি গ্রেপ্তার হলে কীভাবে শপথ গ্রহণ করবেন তাও জানাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
ইসি সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকারের কোনো জন প্রতিনিধির নাম যদি আদালতের অভিযোগপত্রে থাকে তাহলেও তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা যাবে।
Read More News
আজ মঙ্গলবার জ্ঞাত বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মঙ্গলবার সকালে মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ নির্দেশ দেন।
৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো নগরপিতা নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী সাক্কু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠনের পর প্রথম নির্বাচনে ২০১২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাক্কু মেয়র নির্বাচিত হন। তখন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কুমিল্লার প্রবীণ নেতা আফজল খানকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত করেন। এবারের নির্বাচনে সেই আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করেন তিনি।