৩৫ ও ৩৬তম বিসিএসে প্রার্থী না পাওয়া মেধা তালিকায় থাকা সাধারণ প্রার্থীদের নিয়োগের মাধ্যমে কোটার শূন্য পদ পূরণ করা হবে। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপন করা দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।
Read More News
তিনি জানান, ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় কৃতকার্য কিন্তু ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত নয় প্রার্থীদের মধ্যে নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদ পূরণের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ সংক্রান্ত শর্ত শিথিল না করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্কেল অ্যাডজুটেন্টের ৩০২টি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডওয়াইফের (ধাত্রী) ৬০০টি পদ পূরণ করা যাচ্ছে না। এজন্য মন্ত্রিসভা একবারের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ শর্ত শিথিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এ পদগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী না পাওয়ায় ৩৫তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার অপূরণকৃত সংরক্ষিত পদ ৩৬তম বিসিএসের সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের শূন্য পদের সঙ্গে যোগ করে তা পূরণ করা হবে। এছাড়া প্রাধিকার কোটার অপূরণকৃত পদ সংরক্ষণের বিধান ৩৬তম বিসিএসের জন্য এককালীন শিথিল করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ৩৬তম বিসিএসের ২ হাজার ১৮০টি শূন্যপদের মধ্যে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের জন্য এক হাজার ৬৩৮টি পদ আছে। এ পদগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার ৭৩৭টি পদের অধিকাংশই খালি থাকছে। তাই এ পদগুলো মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা প্রার্থীদের মাধ্যমে পূরণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে বেশিরভাগ পদই কোটার ভিত্তিতে পূরণ করা হয়। প্রথম শ্রেণির চাকরির মাত্র ৪৫ শতাংশ পূরণ হয় মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৫৫ শতাংশই কোটার ভিত্তিতে পূরণ করা হয়ে থাকে।