আলু আবাদ মৌসুমের শুরু থেকে জয়পুরহাটের বিভিন্ন মাঠে একের পর এক চুরি হচ্ছে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও মিটার। এর মধ্যে গত দেড় মাসেই চোরেরা নিয়ে গেছে ৫৭টি ট্রান্সফরমার ও ১১টি মিটার। ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে কালাই উপজেলায়। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ট্রান্সফরমার ও মিটার চুরি রোধে নিজ উদ্যোগে পাহারার জন্য এলাকায় মাইকিং করেছে।
Read More News
পুলিশ বলছে, তারা তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে চোরচক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিটার চুরির স্থানে চোরেরা চিরকুটে বিকাশ নাম্বার লিখে রাখছে। ওই নম্বরে যোগাযোগের পর বিকাশে টাকা পাঠালে মিটার ফেরত দিচ্ছে। ট্রান্সফরমারের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র। ট্রান্সফরমারের তামার তার খুলে নিয়ে বোতল রেখে যাচ্ছে চোরেরা। ওই ট্রান্সফরমার কোনো কাজে আসছে না। ট্রান্সফরমার ও মিটার চুরি হওয়া গভীর নলকূপ মালিকদের লাখ লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে। জয়পুরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া তথ্যামতে, নভেম্বরের শুরু থেকে চলতি মাসের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৭টি ট্রান্সফরমার ও ১১টি মিটার চুরি গেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় তিনটি ট্রান্সফরমার, একটি মিটার, পাঁচবিবিতে ১৫টি ট্রান্সফরমার, আক্কেলপুরে ছয়টি ট্রান্সফরমার ও পাঁচটি মিটার, কালাইয়ে ২৩টি ট্রান্সফরমার ও চারটি মিটার, ক্ষেতলালে ১০টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। ট্রান্সফরমার-মিটার চুরি রোধে জনসচেতনা বাড়াতে এলাকায় করা হয়েছে মাইকিং। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সূত্র জানায়, গভীর নলকূপে ১০ কেভির তিনটি ট্রান্সফরমার থাকে। প্রতিটির দাম ৮০ হাজার টাকা। তিন ফেজের মিটারের দাম সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। গভীর নলকূপ মালিক আনিছুর রহমান বলেন, গত ২৩ নভেম্বর রাতে আমার নলকূপের ট্রান্সফরমার চোরেরা নিচে নামিয়ে ঢোল রেখে তামার তার নিয়ে গেছে। পরদিন থানায় অভিযোগ করেছি। এরপর ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে ট্রান্সফরমার লাগিয়ে সেচ দিচ্ছি। আবার চুরি হলে সেচ বন্ধ করে দেব। কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে একটি গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে। গভীর নলকূপ মালিকদের নিজ উদ্যোগে পাহারার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পুলিশ চক্রটি ধরতে তৎপর রয়েছে।