মোবাইল ফোনে মৃত মায়ের ছবি ছিল। অন্য সবকিছু দিলেও মায়ের স্মৃতি রক্ষার জন্যই মোবাইলটি ছিনতাইকারীদের দিতে চাননি তিনি। এটাই নারায়ণগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াজেদ আলম সীমান্ত (২০) হত্যার কারণ জানিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
Read More News
গতকাল ওয়াজেদ আলম সীমান্ত হত্যায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে আকাশ খান নামে এক ছিনতাইকারী জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে বুধবার অনিক নামে আরও একজন জবানবন্দি দিয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক কাইউম খান আদালতে দুই ছিনতাইকারীর স্বীকারোক্তি ও এ তথ্য দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারীরা সীমান্তর সঙ্গে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ নেওয়ার চেষ্টা করে। সীমান্ত মোবাইল দিতে চাননি। কারণ মোবাইলে তার মায়ের ছবি ছিল। মা অনেক আগেই মারা গেছেন। মানিব্যাগ দিলেও মায়ের স্মৃতি রক্ষার জন্যই মোবাইলটি দিতে চাননি। ছিনতাইকারীরা মোবাইল নেওয়ার জন্য ছুরিকাঘাত করে। এতেই সীমান্ত মারা যান। ১২ ডিসেম্বর ভোরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) কম্পিউন্টার সায়েন্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সীমান্ত নগরের দেওভোগ এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। সীমান্তের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও মুঠোফোন নিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্ত মারা যান।