মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এমন বার্তা আসার পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হওয়া উচিত তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। তবে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দ্রুত নির্বাচন চায়।
Read More News
তাদের দাবি, সবার অংশগ্রহণে দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচন প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনো কথা না বলায় এ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি আওয়ামী লীগের।
দলের নেতারা জানিয়েছেন, দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনো কথা না বলায় এ নিয়ে আরো বেশি শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের পথে আছি। সমাজের সব অংশীজন নিয়ে নির্বাচন হোক, সেটা চাই। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হওয়া দরকার।
আমরা চাইব অনির্বাচিত সরকার যেন নিরেপক্ষ থাকার দায়িত্বে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা দেখছি না। নির্বাচন সংস্কার কমিশন থেকে তাদের কোনো রকম বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, সেই সুপারিশ আমরা করবো।’
তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিপক্ষে অবস্থান করে।
বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক বক্তরা আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তবে অনেকে মনে করেন, নির্বাচনে অংশ নিতে হলে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়ে আসতে হবে।