জনগণের ঐক্য ছাড়া কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা সম্ভন নয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের ডাক উপেক্ষা করে সরকার দেশকে আরো সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আব্বাস বলেন, পেপারে দেখলাম যে জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে। এখনো নির্বাচন দিলে পরে ফেয়ার ইলেকশন যদি হয় আওয়ামী লগের জামানত থাকবে না নির্বাচনে। সেই ক্ষেত্রে এত বৃহত্তর একটা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে যে দল সেই দলকে বাদ দিয়ে কে কারা কোথায় ঐক্য গড়ল এটা তো বুঝতে পারলাম না। সেই ঐক্য কী দেশ বাঁচানোর জন্য না দেশ ধ্বংস করার জন্য? সেই ঐক্য কী বিরোধী দল দমনের জন্য?
Read More News
আজ বুধবার বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে আব্বাস এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
গত ১৭ জুলাই গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দেশের মানুষের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দুই নেতাই অভিযোগ করেন, জঙ্গি দমনে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে জনমনে। নিরাপত্তার কথা বলে গুলশান থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় উচ্ছেদ করাই সরকারের উদ্দেশ্য বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই অজুহাতে বিএনপির মতো অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আজকে নিঃশেষ করার জন্য এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গুলশান থেকে বেগম খালেদা জিয়ার অফিস সরাতে হলে সরকারকে গ্যারান্টি দিতে হবে যে বাংলাদেশে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোথাও হবে না। বেগম খালেদা জিয়ার অফিস ওখান থেকে সরিয়ে দিলে এই গ্যারান্টি তাকে দিতে হবে। আর এই গ্যারান্টি যদি না দেওয়া হয় তাহলে আমাদের বলতে দ্বিধা নাই যে সরকার ঘরপোড়ার মধ্যে আলুপোড়া দিচ্ছে।
এ বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির একটা অফিস সরিয়ে দিয়ে বিএনপিকে স্তব্ধ করা যাবে না। তখন ঢাকার এবং বাংলাদেশের ঘরে ঘরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অফিস তৈরি হবে।