ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামকে চরম আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ। তিনি বলেন, ড. কামাল ও ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম হচ্ছেন এক নম্বর এন্টি আওয়ামী লীগ। ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এদিকেও আছেন ওইদিকেও আছেন। তাঁরাই হচ্ছেন আদালতের বন্ধু।
Read More News
আজ রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়, রায়ের পর্যবেক্ষণ, অ্যামিকাস কিউরি বা আদালতের বন্ধুদের ভূমিকা, রায় নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্ব, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সাম্প্রতিক বক্তব্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে আপিল বিভাগ ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, টি এইচ খান, এ জে মোহাম্মদ আলী, এ এফ হাসান আরিফসহ অন্য যাঁদের অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত নিয়েছেন এঁদের মধ্যে ড. কামাল হোসেন তো এক নম্বর এন্টি আওয়ামী লীগ। তিনি এক সময় আমাদের দল করতেন। ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামকে আমরা নমিনেশন দিতে পারিনি। তিনিও এখন আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী। ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ এই দিকেও আছেন আবার ওই দিকেও আছেন। আওয়ামী লীগ বিদ্বেষীরাই এ মামলায় আদালতের বন্ধু হিসেবে মতামত দিয়েছেন। একমাত্র আজমালুল হোসেন কিউসিই বিচারপতিদের অপসারণে ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত রাখার পক্ষে মতামত দিলেন। কারণ অবশিষ্টরা কারা, এটা দেশবাসী বেশ ভালো ভাবেই জানে। এই কারণেই দেশের মানুষ এ রায় গ্রহণ করবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে কেউ যদি হাত দেন, তাহলে তাঁর হাত পুড়ে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কবর রচনা হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা থাকতে সুপ্রিম কোর্ট তো নয়ই, আর অন্য কোনো মাধ্যম থেকেও এ ব্যবস্থা পুনর্বহালের কোনো সুযোগ নেই।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে সরকার ডিফেন্সিভও নয়, নমনীয়ও নয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণটি বারবার পড়েন জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আজকেও পড়েছি। প্রধান বিচারপতি রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘নির্বাহী বিভাগ শেষ, আইন বিভাগ শেষ, বিচার বিভাগও ডুবু ডুবু। সংসদীয় গণতন্ত্র অপরিপক্ব। হ্যাঁ, সংসদ প্রশ্নবিদ্ধ।’ আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, তার মানে কী দেশ অকার্যকর?”