গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নায়িকা পরীমনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ কারাগার থেকে পরীমনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিনের আদেশ দেন।
এ সময় কারাফটকে গণমাধ্যম ও শত শত স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় করে। একটি সাদা হুটখোলা গাড়িতে করে পরীমণিকে কারাগার থেকে আনতে যান তাঁর আইনজীবী ও স্বজনরা। এ সময় পরীমণি গাড়িতে দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। মুক্তির পর খুবই হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল চিত্রনায়িকাকে। তিনি সাদা টি-শার্ট পরে ছিলেন। তাঁর মাথায় সাদা ওড়না পেচানো আর চোখে ছিল রোদচশমা। মাস্কও পরেছিলেন সাদা। গাড়িতে দাঁড়িয়ে তিনি সেলফি তুলেন। ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন ভক্তের সঙ্গে হাতও মেলান। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পরীমণি শুধু বলেন, থ্যাংক ইউ, ধন্যবাদ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিনের আদেশ দেন। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা ছিল না, তাই মুক্তিতে কোনো বাধা ছিল না।
Read More News
পরীমণি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন এমন সংবাদে গতকালও বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারাফটকে ভিড় করেছিলেন গণমাধ্যমকর্মী ও তাঁর ভক্তরা। কিন্তু তাদের হতাশ হতে হয়। কারণ, গতকাল জামিনের কাগজ-পত্র কারাগারে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় তিনি মুক্তি পাননি। আজ সকাল জামিনের কাগজ-পত্র যাচাই বাছাই শেষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পরীমণি আজ যেকোনো সময় মুক্তি পাচ্ছেন এটা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। ফলে সকাল থেকে ফের কারাফটকে ভিড় করেন গণমাধ্যমকর্মী ও ভক্তরা। সকালে সাদা গাড়ি নিয়ে কারাগারে পৌঁছান তাঁর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত, পরী মণির খালু জসীমউদ্দিনসহ অন্যরা। অন্যদিনের তুলনায় এদিন কারারক্ষীদের তৎপরতা ছিল বেশি। তারা ভিড় সমলাতে ব্যস্ত ছিলেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় পরী মণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরী মণি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।