বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বরিশাল নগরে। এমতাবস্থায় নগরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন।
তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০ প্লাটুন বিজিবির সদস্য চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বরিশালে খুব দ্রুত বিজিবি সদস্যরা এসে সংশ্লিষ্ট দফতরে রিপোর্ট করবেন। পাশাপাশি আশপাশের জেলা থেকেও ম্যাজিস্ট্রেটদের আনা হচ্ছে। তারা সবাই উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত থাকবেন।
অপরদিকে, বুধবার রাতের ঘটনা পর্যালোচনা এবং করণীয় নির্ধারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের সরকারি বাসভবনে জরুরি সভা করে জেলা ও বিভাগীয় কোর কমিটি।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, নগরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ প্লাটুন বিজিবির সদস্য চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ প্লাটুন বিজিবির সদস্য বরিশালের পথে রয়েছে। রাতে তারা বরিশালে পৌঁছাবে। বিজিবির সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকবেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ জন্য বরিশালের বাইরের জেলা থেকে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজন চলে এসেছেন। বাকিরাও আসবেন।
এর আগে বুধবার (১৮ আগস্ট) দিনগত রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাঁটানো অবৈধ ব্যানার-বিলবোর্ড-প্ল্যাকার্ড অপসারণকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উপজেলা পরিষদ এলাকা। দফায় দফায় গুলি লাঠিচার্জে আহত হন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। পাশাপাশি আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য।
এদিকে, সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে নগরীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুই মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।