সরাসরি জুতা নিয়েই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স-চিকিৎসক

বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী এবং রোগীর স্বজনদের জুতা নিয়ে ঢুকতে না দিলেও স্টাফ, নার্স এবং চিকিৎসকরা জুতা নিয়ে ঢোকেন জানিয়ে ফেসবুকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন বরিশালের এক যুবক। আর ওই যুবকের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সোমবার (০৭ জুন) বাংলা‌দেশ পু‌লিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের এআইজি মো. সোহেল রানার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই যুবক বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের ইনবক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে জানান, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় কিছু ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে আগত রোগীদের বাইরের জুতা নিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া না হলেও হাসপাতালের স্টাফ, নার্স ও ডাক্তাররা ঠিকই বাইরে ব্যবহৃত জুতা নিয়ে হরহামেশা হাসপাতালে ঢোকেন। এর মধ্যে খ্যাতনামা কিছু প্রাইভেট হাসপাতালও রয়েছে।
Read More News

তিনি লিখেছেন, ‘রোগী ও স্বজনদের ব্যবহৃত জুতা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু তাদের জন্য ভেতরে কোনো জুতার ব্যবস্থা নেই। আবার, এও লক্ষ্য করলাম ডাক্তার এবং এখানকার স্টাফরা সবাই তাদের বাইরের ব্যবহৃত জুতাই ভেতরে ব্যবহার করে। সরাসরি পায়ের জুতা নিয়েই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রবেশ করে। প্রশ্ন হলো: যদি খালি পায়ে প্রবেশ করাই লাগে, তাহলে তো সবার ক্ষেত্রেই একই নিয়ম হওয়া উচিত নয় কি? রোগীরা যখন খালি পায়ে প্রবেশ করছে তখন প্রত্যেকে প্রত্যেকের দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দিকে অনেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তাররা এবং স্টাফরা কিন্তু ঠিকই খালি পায়ে হাঁটছে না। এতে করে রোগীর সাথে আসা স্বজনরাও ঝুঁকিতে পড়ছে কিনা?’

এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোনো সমাধানমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও এখানে চিকিৎসা নিতে আসা নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মানুষসহ সব রোগীর বাড়তি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

ওই ব্যক্তির বার্তা পেয়ে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশনা দেয়। নির্দেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক ও হাসপাতাল সমূহের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। এছাড়াও ভবিষ্যতে সবাই যেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতেও বলা হয় নির্দেশনায়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক ও হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করে পুলিশ। উত্থিত অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং এ ধরনের কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে কর্মকর্তারাও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *