এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আরেকটু উন্নতির দিকে। তার ফুসফুস থেকে পানি সরানোর জন্য সর্বশেষ পাইপটিও খুলে ফেলা হয়েছে।
ফিজিওথেরাপির অংশ হিসেবে অন্যের সাহায্য নিয়ে এখন প্রতিদিনই রুটিন করে একটু একটু করে তাকে হাঁটাচলা করানো হয়। তবে করোনা পরবর্তী জটিলতায় কিডনির সমস্যা এখনো শঙ্কামুক্ত হয়নি। হার্টবিট বাড়ার কারণে তাকে আরও কিছুদিন সিসিইউতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।
Read More News
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাদের পরামর্শে ২৭ এপ্রিল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৩ মে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। পরে করোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এখন পোস্ট কোভিড জটিলতায় খালেদা জিয়ার পুরনো রোগ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকের পাশাপাশি হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।
নিয়মানুযায়ী ফুসফুসে কতটুকু পানি আসে সেটার উপর নির্ভর করছে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ। তবে আশার কথা হচ্ছে খালেদা জিয়ার ফুসফুস জটিলতা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিডনির জটিলতা এখনো কমেনি। ডায়াবেটিকস অবস্থাও অনেকটা অনিয়ন্ত্রিত। তার হার্টবিট স্বাভাবিক না হওয়ায় আরও কিছু দিন সিসিইউতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।