ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আগামীকাল বুধবার দুপুরে স্থলভাগ অতিক্রম করবে। সমুদ্রে থাকা ঘূর্ণিঝড়টি এরই মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
Read More News
আবহাওয়া কার্যালয়ের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল বুধবার দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইয়াস সম্পর্কিত ১২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর ও কুষ্টিয়া নদীবন্দরকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরকে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাকে নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।