করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে চলমান সর্বাত্ম লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে সরকার। লকডাউনের বিধিনিষেধ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, লকডাউন ১৭ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত করা হচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে এপ্রিলের শুরুর দিকে গণপরিবহন চালু রেখে লকডাউন দেওয়া হয়। পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে। শেষ হওয়ার আগেই আরেফ দফা বাড়ানোর ঘোষণা দিল সরকার।
Read More News
বিধিনিষেধের বর্ধিত মেয়াদেও জেলার মধ্যে বাস চলবে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া আগের মতোই বন্ধ থাকবে ট্রেন ও লঞ্চ।
এছাড়া লকডাউনে আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে হবে ব্যাংকে লেনদেন। খাবারের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো কেবল খাবার বিক্রি বা সরবরাহ করতে পারবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে ১৬ মে। এ ছাড়া ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে জনগণের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে। এ আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এখন এ আইন সংশোধন করে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।