রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে যা করবেন

রমজান হলো সংযমের মাস। এ সময় সারাদিন না খেয়ে উপবাস করা হয়। শুধু ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত খাওয়ার সময় খাকে। ফলে এ সময়ের মধ্যে যার যা ইচ্ছে; তা-ই খেতে থাকেন! ভুল খাবার নির্বাচনের কারণেই গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের সমস্যা দেখা দেয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

রোজায় অ্যাসিডিটি তথা গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেট জ্বালাপোড়া ও পেটের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করার মতো সাধারণ সমস্যা হতে পারে। এছাড়া পেট ফাঁপা, কোষ্টকাঠিন্য ও টয়লেট পাতলা হওয়ার সমস্যায়ও ভুগতে পারেন কেউ কেউ।

এ ব্যাপারে পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ রোজদারদের কিছু নিময় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

Read More News

রোজায় শেষ বেলায় তথা বিকালে বমি বমি ভাব হতে পারে। এটা হয়ে থাকে পেটের ভেতরে সারদিন না খাওয়ার কারণে যে এসিডিটি হয় তার কারণে। এ জন্য ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবর খেতে হবে।

ইফতারে কোনোভাবেই বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। নিয়মিত যে খাবারগুলোর সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত সেই খাবারগুলোই খেতে হবে। এর বাইরে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।

বাসায় বানানো শরবত খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে ফল বা ফলের সালাদ খাওয়া যেতে পারে। অবশ্যই পানি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। সিদ্ধ ছোলা বা মুড়ি খাওয়া যেতে পরে।

অতিরিক্ত খাদ্য হজম হতে গিয়ে অনেক সময় লাগবে এবং অনেক সময় সব খাদ্য হজম না হয়ে সারাদিন এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এতে সারাদিন বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। ঢেকুরের সঙ্গে খাবার চলে আসেতে পারে। এছাড়া আগের কোনো উপসর্গহীন রোগ থাকেলে সেগুলোর উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে তেল জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। একবারে পেট পুরে না খেয়ে প্রয়োজনে অল্প করে কয়েকবার খাওয়া যেতে পারে। তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ওমিপ্রাজল জাতীয় কিছু ওষুধ খেয়ে নিলে সমাধাান হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *