করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাংলাদেশে নতুন করে আজ বুধবার ভোর থেকে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের জেলা শহর ও গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া রয়েছে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টহল।
কিছু কিছু সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সব যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রিকশাও চলতে দেওয়া হচ্ছে না সেসব সড়কে। এসব সড়কে জরুরি সেবা সংস্থার কোনো যানবাহনও যেতে পারছে না, যেতে হচ্ছে বিকল্প পথে।
Read More News
বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে লোকজনের মুভমেন্ট পাস দেখা হচ্ছে এবং রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত পেশাদার লোকজনকে চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ অনেক জেলা শহরগুলোতেও এদিন সকালে একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুত্, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন—এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
এছাড়া ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিত্সাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সত্কার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।