ভারত থেকে আসা ৫০ লাখ ডোজ টিকা গাজীপুরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মোট ২৬ লাখ টিকা দেশের ৩৪ জেলায় পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেশের জেলায় জেলায় পৌঁছাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছিল, গাজীপুরের বেক্সিমকো কারখানা থেকে এসব টিকা বিশেষ ফ্রিজার গাড়ি ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
আজ শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসব টিকা পৌঁছাতে শুরু করেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা প্রশাসনের সহায়তায় এসব টিকা গ্রহণ করে সংরক্ষণ করছেন। পরে এসব টিকা বিভিন্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
Read More News
এসব জেলা হচ্ছে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট।
আজ কুষ্টিয়া সকালে সুরক্ষিত ভ্যাকসিন বহনকারী পিকআপে করে পাঁচটি কার্টনে এসব ভ্যাকসিন পৌঁছায়। এগুলো জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। জেলায় ৬০ হাজার মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।
আগামী রোববার ও সোমবার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও চিকিৎসকদের টিকার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকারভুক্ত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান। প্রথম দফায় বরিশাল জেলার জন্য পাঠানো হয় ১৪ কার্টন টিকা। একই সঙ্গে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার জন্য ৩৩ কার্টনে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ডোজ টিকা পাঠানো হলেও এ দফায় টিকা পায়নি পিরোজপুর জেলা।
এছাড়াও, রাজশাহীতে ১ লাখ ৮০ হাজার, নাটোরে ৪৮ হাজার, হবিগঞ্জে ৭২ হাজার, ফরিদপুরে ৬০ হাজার ও ঝিনাইদহে ৬০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কর্মীদের প্রশিক্ষণের পর সরকারি নির্দেশনা পেলেই করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর কথাও জানিয়েছেন তারা।