মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই জানিয়েছে, তাদের কাছে সারা দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনে সশস্ত্র বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমন তথ্য রয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে। একে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভ হতে পারে। এফবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ একটি বুলেটিনে এমনটি বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএন ওই বুলেটিন হাতে পেয়েছে।
ট্রাম্প-সমর্থক ও কট্টরপন্থিদের অনলাইন পোস্টগুলোতে ১৭ জানুয়ারি সারা দেশে এবং ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানের দিন ওয়াশিংটন ডিসিতে সশস্ত্র মহড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফলে নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের দিনটিকে সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। নিয়োজিত করা হচ্ছে ফেডারেল, অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
Read More News
গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের গণনা এবং জো বাইডেনের বিজয় প্রত্যয়নের জন্য কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলাকালে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলে সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হামলার পর এই বাড়তি নিরাপত্তার আয়োজন করা হচ্ছে। সেদিনের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।
ওয়াশিংটনের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের ওই হামলা পুরো পরিকল্পনার ‘শুরু মাত্র’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এফবিআইয়ের বুলেটিনে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ওয়াশিংটনের ইউএস ক্যাপিটলের বাইরে শপথ নিতে ভীত নন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিস ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল প্রাঙ্গণে খোলা ময়দানে শপথ নেবেন। গত বুধবার কয়েক ঘণ্টার জন্য এই ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ দাঙ্গাবাজদের দখলে চলে যায়।
সোমবার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চ্যাড উল্ফ বলেছেন, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা বাড়াতে ইউএস সিক্রেট সার্ভিসকে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। ছয় দিন আগেই অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। সোমবার বিকেলে ট্রাম্প মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন চ্যাড উল্ফ। তিনি ট্রাম্প মন্ত্রিসভার তৃতীয় পদত্যাগকারী ব্যক্তি।
প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় অন্তত ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে মোতায়েন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।